আজ ৩০ এপ্রিল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। এই সূর্যগ্রহণ হবে আংশিক। চলতি বছর মোট চারটি গ্রহণ দেখা যাবে। যার মধ্যে দুটি সূর্য ও দুটি চন্দ্রগ্রহণ। সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ভারতীয় সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এবং ভারতীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৪টা ৭ মিনিটে শেষ হবে। তাই এই গ্রহণ বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে।
শেষ সূর্যগ্রহণ হয়েছিল ২০২১ সালে। গ্রহণ হয়েছিল ৪ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়। গ্রহণ চলে বেলা ৩টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত। এর আগের সূর্যগ্রহণটি ছিল ওই বছরের ১০ জুন।
চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোনো দর্শকের কাছে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। এ ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়।
অমাবস্যার পর নতুন চাঁদ ওঠার সময় এ ঘটনা ঘটে। পৃথিবীতে প্রতি বছর অন্তত দুই থেকে পাঁচটি সূর্যগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। এর মধ্যে দুটি পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়।
সূর্যগ্রহণের সময় আবহাওয়ার তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পায়।জ্যোতিষ শাস্ত্রে সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই শাস্ত্র মনে করে, সূর্য ও চাঁদ এ দুটি গ্রহ মানুষের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।
সূর্যগ্রহণে কি করবেন এবং কি করবেন না বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষীরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন গ্রহণের সময় কি করা উচিত আর কি করা অনুচিত। সূর্যগ্রহণ একটি দর্শনীয় ঘটনা।
যাইহোক, এই সূর্যগ্রহণের সময়, সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে শক্তিশালী ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ বিকিরণ হয় এবং তাই এটি খালি চোখে দেখার ফলে দৃষ্টিশক্তির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সূর্যগ্রহণ দেখার নিরাপদ উপায় হল ব্রডকাস্টিং প্ল্যাটফর্মে বা টেলিস্কোপ এবং প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখুন।
অপরদিকে জ্যোতিষীরা একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এই সূর্যগ্রহণকে নিয়ে
১) গ্রহণের সময় খাবার ও জল খাওয়া যাবে না,
২) গ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের সূর্য রশ্মির কাছে আসতে বারণ করা হয়েছে।
৩) সূর্যগ্রহণ চলাকালীন ধারালো কোনও বস্তু ব্যবহার করবেন না
৪) সবচেয়ে ভালো হয় সূর্যগ্রহণের সময় নিজের আরাধ্য দেবতাকে স্মরণ করুন, এতে ভালো ফল মিলবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।